পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ পরিবারের অমতেই প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছিল। মন্দিরে গিয়ে সিঁদুর পরানো হয়ে গেছিল। কিন্তু আইনের চোখে তারা দুজনেই যে অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই জামাইবাবুর বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে থাকলেও নাবালিকা বিবাহের খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে চলে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতেরবেলা ওই দু’জন ছেলে-মেয়ে লুকিয়েচুরিয়ে বিয়ে করেছিল। আর জামাইবাবুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ খবর পেয়েই সেই রাতেই সেখানে পৌঁছে যায়। এদিকে পুলিশ এসেছে শুনেই শুনে ঘরের জানলা ভেঙে ১৬ বছর বয়সী নাবালিকা কনেকে নিয়ে বর রাহুল দাস জানলা ভেঙে ঝাঁপ দিয়ে চম্পট দেয়। যার নিজের বয়সও এখনো ২১ হয়নি।
জানা গেছে, ওই নাবালিকা নোদাখালি থানার পোয়ালি পঞ্চাননতলা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যদিকে বর রাহুল দাস কুল্পি থানার বসুর মহলের বাসিন্দা। গত ২ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়েছে বলে জানা যায়।
এরপর রাতের অন্ধকারে নব দম্পতি মাঠের মধ্যে লুকিয়ে বসে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ এসে দু’জনকে পাকড়াও করে নিয়ে যায়। নাবালিকা কনেকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর রাহুলকে আটক করে রেখে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
আজ সকালবেলা রাহুলকে তার পরিবার পুলিশের হেফাজত থেকে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা ডায়মন্ড হারবার থানার লালবাটি গ্রামে ব্যপক শোরগোল শুরু হয়ে যায়।