অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ কালোজিরের পর এবার নিত্য প্রয়োজনীয় মশলা ধনেতেও বিষ ধরা পড়েছে। যে গোটা ধনে বা ধনেগুঁড়ো ছাড়া রান্নাই হয় না সেই ধনেতে গন্ধক মেশানো হচ্ছে। এই গন্ধক মেশানো ধনে প্রত্যেকদিন নেওয়ার ফলে ধীরে ধীরে মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত দেড় মাসে দু’দফায় কলকাতা পুলিশের হাতে এই ভেজাল ধনে ধরা পড়েছে। প্রথম দফায় উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান এলাকা থেকে ভেজাল গোটা ধনে উদ্ধার হওয়ার পর কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার তরফে তা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়।
ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়, ধনের মধ্যে গন্ধক মেশানো হয়েছে। এই অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্টের পক্ষ থেকে জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতেরবেলা বেলঘরিয়ায় হানা দিয়ে এই ভেজাল ধনের কারবারি পল্টন সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল পল্টনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার গোয়েন্দারা মধ্য কলকাতার পোস্তা বাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে ১৭ লক্ষ টাকার ভেজাল কালোজিরে উদ্ধার করার পাশাপাশি জোড়াবাগান এলাকার এক ব্যবসায়ী লক্ষ্মীকান্ত সাউ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ভেজাল কালোজিরের একেকটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি। মোট ১১ হাজার ১০০ কেজি ভেজাল কালোজিরে উদ্ধার করা হয়েছে। মোবিল মেশানো ওই ভেজাল কালোজিরে এতটাই চকচকে যে তা সহজেই ক্রেতাদের চোখে পড়ে না। বহু দোকানদার উত্কৃষ্ট মানের কালোজিরে বলে তা বিক্রি করেন। যদিও রান্নায় দেওয়ার পর পোড়া গন্ধ থাকে না।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, কলকাতা ও তার আশপাশের বহু দোকানে ওই ভেজাল কালোজিরে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি প্যাকেট করেও বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে। তাই কালোজিরে কেনার আগে ক্রেতারা যেন হাতে ঘষে দেখেন। আর হাত কালো হয়ে গেলে বুঝতে হবে এই কালোজিরেতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।