নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সত্যনগরের বাসিন্দা রাজীব মণ্ডলের ১৪ মাসের ছেলে রুদ্র চিপস খাওয়ার সময় এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটালো।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রুদ্র চিপস খাওয়ার জন্য বায়না করায় ঠাকুমা পাশের দোকান থেকে একটি চিপসের প্যাকেট কিনে প্যাকেটটি ছিড়ে হাতে দিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর ঠাকুমা রুদ্রের জিভের উপর একটি খেলনা গুলি দেখতে পেয়ে গিলে ফেলার আগেই গুলিটি ফেলে দেন।
এরপর প্যাকেট দেখে বুঝতে পারেন এর আগেও রুদ্র চিপসের প্যাকেটের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি গুলি খেয়ে ফেলেছে। এরপর তৎক্ষণাৎ কৃষ্ণগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা শিশুটিকে ওষুধ দিয়ে জানান, “মলের সাথে গুলিগুলি বেরিয়েও যেতে পারে”।
কিন্তু রাত কেটে গেলেও এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটায় এদিন রুদ্রকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এক্সরে করে দেখা যায়, পাঁচটি গুলি পাকস্থলীতে আটকে রয়েছে। তারপর চিকিৎসার জন্য কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, চিপসের প্যাকেটের উপহার হিসেবে চিপসের প্যাকেটের মধ্যে খেলনা বন্দুক দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বন্দুকের গুলিও দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় পরিবারের সকলেই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এর সাথে সাথে ঠাকুমা নিজেকেই দোষারোপ করছেন।
তিনি জানাচ্ছেন যে, “আমারই একবার দেখা উচিত ছিল। তবে প্যাকেটের মধ্যে এইভাবে প্লাস্টিকের খেলনা দিয়ে দেবে সেটা বুঝতে পারিনি। চিপসের প্যাকেটের গায়েও কিছু লেখা ছিল না। খেলনা তো চিপসের সাথেই মিশে ছিল। যে কারোর সাথেই এই ঘটনা ঘটে যাবে। বাচ্চাদের খেলনা ভালো লাগলেও এটা খুবই বিপজ্জনক। বাচ্চাদের সুরক্ষার কথা ভেবে কোম্পানীদের এরকম খেলনা কখনোই বের করা উচিত না”।