নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ বলিউডে মাদক যোগের ঘটনা নতুন কিছু নয়। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মারা যাওয়ার পর থেকেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্তারা রিয়া চক্রবর্তী থেকে শুরু করে একের পর এক অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল। আর এবার কিং খানের পুত্রের নাম উঠে আসলো।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, গোপন সূত্র মারফত এনসিবি আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল যে মাঝ সমুদ্রে রেভ পার্টি হবে। সেইমত গতকাল রাতে এনসিবি আধিকারিকরা যাত্রী বেশে ক্রুজে ওঠেন।
এরপর পার্টি শুরু হতেই শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান সহ ইসমিত সিং, গোমিত চোপড়া, নুপূর সারিকা, বিক্রান্ত চোকার, আরবাজ মার্চেন্ট, মোহক জয়সওয়াল, মুনমুন ধামেচাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে গোমিত, নূপুর এবং মোহক দিল্লির বাসিন্দা।
এদিকে একটানা ১৬ ঘণ্টা জেরার পর আরিয়ান এনসিবি আধিকারিকদের সামনে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন। জেরা চলার সময় হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন। অবশেষে নিজের মুখেই মাদক আসক্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চার বছর ধরে আরিয়ান মাদক নিতেন। দুবাই ও ব্রিটেনে থাকার সময়েও নিয়মিত মাদক নিতেন। আবার মুম্বই থেকে বাইরে কোথাও গেলে মাদক লুকিয়েই নিয়ে যেতেন। বিলাসবহুল পার্টিতে বন্ধুদের সঙ্গে মাদকের আসরও চলতো।
গোয়াগামী প্রোমোদতরীতে নিজের লেন্সের বক্সে আরিয়ান এবং তার বন্ধুদের কাছ থেকে প্রায় ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২ টি পিল (এমডিএমএ) ও ৫ গ্রাম এমডি পাওয়া গেছে।
এমনকি মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যে এবং ওষুধের বাক্সে মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে এনসিবি আধিকারিকরা এত মাদক কোথা থেকে এলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে।
আরিয়ান-আরবাজের বন্ধুত্ব ১৫ বছরের। আরিয়ান ও আরবাজের মাদক কেনাবেচার চক্রের সাথেও যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এনসিবি আধিকারিকরা সকলের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক রোধ আইনের ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ এবং ৩৫ ধারা প্রয়োগ করেছে।