নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ বাড়ি থেকে নিখোঁজ এক ঠিকাদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত তাপস মান্না বাগনানের মহলা এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থায় কর্মী সরবরাহ করার কাজ করতেন।
জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২ টো নাগাদ তাপস বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন রাত ১০ টা নাগাদ শেষবার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সেই সময় তাপস জানান বন্ধু সত্যজিত্ ও বিশ্বজিত্ এর সাথে আছেন। শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় পরিবার দু্শ্চিন্তা করতে থাকেন। ফের রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ ফোন করা হলে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়।
সারা রাত তাপসের খোঁজ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে নিখোঁজ ডায়েরী করেন। এরপরই সত্যজিত্ এর সাথে যোগাযোগ করলে সে বলেন, “তাপস হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি”। তারপর তড়িঘড়ি পরিবার হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারেন তাপসের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের পরিবার সত্যজিৎকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে প্রশ্ন করলে সত্যজিৎ বলেছেন, “উলুবেড়িয়ায় ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অচৈতন্য অবস্থায় তাপসকে পড়ে থাকতে দেখে কোনোক্রমে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্যস্ততার জেরে কাউকে খবর দেওয়া হয়নি “।
তবে তাপসের পরিজনেরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। পরিবারের তরফে দাবী করা হয়েছে যে, “তাপসের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। খুন করা হয়েছে। তাপসের মৃত্যুতে সত্যজিত্ এবং বিশ্বজিত্ এর উপরই অভিযোগের আঙুল উঠছে”।
বাগনান থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। তাপসকে উলুবেড়িয়ার কোনো হাসপাতালে ভর্তি না করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলো কেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে।