রায়া দাসঃ কলকাতাঃ অভিনব কায়দায় ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় চুরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হলো। রীতিমতো টিকিট কেটে ট্রেনে যাত্রী সেজে চোর সফর শুরু করে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের তত্পরতায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই ঘটনায় পাঁচটি মোবাইল সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেরবেলা চিরঞ্জীব চক্রবর্তী শিয়ালদহগামী পদাতিক এক্সপ্রেসের এ-২ কামরায় যাত্রা করছিলেন। মাঝ রাতে টের পেলেন যে তার মোবাইলটি খোয়া গিয়েছে। হইচই করতে একই কামরার যাত্রী শ্রীজিতা বিশ্বাস, মানিক চট্টোপাধ্যায়, এ-১ কামরার যাত্রী রূপলেখা পোদ্দার, বি-৩ কামরার যাত্রী সৌরভ চৌধুরী প্রত্যেকেই দেখেন যে তাদের মোবাইলও পাওয়া যাচ্ছে না।
অথচ ঘু্মানোর আগে প্রত্যেকে মোবাইল ব্যবহার করে ব্যাগে বা মাথার পাশে রেখেছিলেন। তখনই চুরির কথা মাথায় আসায় রেলের সুরক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগের জায়াগায় বিষয়টি টুইট করে জানান। রেল যাত্রীদের অভিযোগ পেয়েই তত্পর হয়।
এরপর আরপিএফ কন্ট্রোল ওই ট্রেনের এসকর্ট বাহিনীকে ট্রেনের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় যাতে কেউ পালাতে না পারে। তারপর বি-২ কোচের ২৩ নম্বর বার্থের যাত্রী হিসেবে আটক হয়। তার কাছ থেকেই পাঁচটি সদ্য চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার হয়। ওই যাত্রী মালদার কালিয়াচকের গয়েশবাড়ির বাসিন্দা মহম্মদ আল আমিন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ আল আমিন মালদা থেকে শিয়ালদহের রিজার্ভ টিকিট কেটে একেবারে যাত্রীর ঢঙে পদাতিক এক্সপ্রেসে যাত্রা করছিল। আর ঠিক রাতেরবেলা সুযোগ বুঝে যাত্রীদের মোবাইল চুরি করে। ধৃতকে আরপিএফের এসকর্ট বাহিনী শিয়ালদহে এনে জিআরপির হাতে তুলে দেয়।
ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় চুরির এহেন ঘটনায় রীতিমতো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে যাত্রীরা রেলের তত্পরতার প্রশংসাও করেছেন।