রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তি বিক্রির পথে কেন্দ্রীয় সরকার

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সরকার এবার বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তি বিক্রির পথে যাচ্ছে।

সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী চার বছরে সড়কপথ, গ্যাসের লাইন, বিমান বন্দর, বিদ্যুত্‍ সরবরাহ ও রেলের নানা সম্পত্তি বিক্রি করা হবে। এর ফলে সরকার ৮১০০ কোটি ডলার পাবে অর্থাৎ ৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ওই সম্পদ বিক্রি করা হবে কিভাবে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পরে জানাবেন।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিলগ্নিকরণ নীতি অনুযায়ী সরকার অর্থনীতির নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্র নিজের হাতে রাখবে। বাকি সবই বেসরকারীকরণ করে দেওয়া হবে। করোনা মহামারীর জন্য দেশে যে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে তা বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।


সেই নীতি অনুযায়ী ইতিমধ্যে লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বাজারে ছাড়া হয়েছে। সেই সাথে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। পরে নির্মলা সীতারমন মোট ১১ টি মন্ত্রকের সম্পদ বিলগ্নিকরণের কথা ঘোষণা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। 


সড়কপথ বিক্রি করে সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেলের সম্পদ বিক্রি করে ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে। বিদ্যুত্‍ সরবরাহের লাইনের বিলগ্নিকরণ করে ১০ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে। সরকারী গুদাম, খনির যন্ত্রপাতি, স্পোর্টস স্টেডিয়াম, বন্দরের পরিকাঠামো ও অসামরিক বিমান চলাচল বিক্রি করে আরো ১০ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

এতদিন কেন্দ্রীয় সরকার খোলা বাজার অর্থনীতির যুগে রাজকোষে অর্থের আমদানি জন্য দু’টি পথ গ্রহণ করেছে। প্রথমত দীর্ঘদিন ধরে যে সরকারী সংস্থাগুলি ক্ষতিতে চলছে সেগুলি বেসরকারী উদ্যোগপতিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পে বেসরকারী বিনিয়োগ আকর্ষণ করা হয়েছে। নির্মলা সীতারমন ২০২১ থেকে ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে তহবিল সংগ্রহের জন্য তৃতীয় একটি পথের কথা বলেছিলেন। সেই পথের নাম ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’। ওই প্রকল্প অনুযায়ী এবার সরকারী পরিকাঠামো বিক্রি করা হবে। ফলে বাজেট ঘাটতি কমবে।

নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, “গত ১ লা এপ্রিল শুরু হওয়া আর্থিক বছরে বাজেট ঘাটতি মোট জাতীয় উত্‍পাদনের ৬.৮ শতাংশ হতে পারে। গত আর্থিক বছরে ৯.৩ শতাংশ বাজেট ঘাটতি হয়েছিল।

যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা করছেন যে করোনা অতিমহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য চলতি আর্থিক বছরে বাজেট ঘাটতি ৬.৮ শতাংশে নাও থাকতে পারে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031