নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হিমাচল প্রদেশঃ আজ সকালেই গতকালের ধসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাসের অর্ধেক অংশের হদিশ পাওয়া গেল। উদ্ধারকারী দলের আশঙ্কা মতোই বাসটি ৫০০ মিটার নীচে খাদে আটকে রয়েছে। এখনো অবধি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মোট ১৩ টি মৃতদেহ। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন।
গতকাল দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একটি ট্যুরিজমের বাস রেকং পেও থেকে শিমলা যাচ্ছিল। ওই সময় একটি ট্রাক, কয়েকটি ছোটো গাড়িও ওই পথ ধরে যাচ্ছিল। সেই সময় হিমাচলের কিন্নরের নেইগাল সারিতে চউরা গ্রামের কাছে পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে ধস নামার জেরে তাতে ওই বাস, একটি ট্রাক, একটি একটি টাটা সুমো সহ একটি বোলেরো গাড়ি চাপা পড়ে যায়।
পাথরের ধাক্কায় বাস থেকে চালক ছিটকে পড়ে যান। ট্রাক চালকের দেহ ও টাটা সুমো থেকে আট জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু বোলেরো গাড়িটির কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
গতকাল দুপুর থেকেই সেনা বাহিনী, আইটিবিপির জওয়ানরা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর উদ্ধারকার্যে নেমে পড়ে। ড্রোন দিয়ে ঘটনাস্থল নজরে রাখা হচ্ছিল। এমনকি বিকল্প রাস্তা তৈরী করে উদ্ধারকার্যের চেষ্টা চালানো হয়।
রাতেরবেলা উদ্ধারকাজ শেষের পর ভোর হতেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে যায়। আর সেই সময় বাসের অর্ধেক অংশ রাস্তা থেকে ৫০০ মিটার নীচে ও সুতলেজ নদী থেকে ২০০ মিটার উপরে আটকে থাকতে দেখা যায়। বাসটি নীচে পড়ে যাওয়া এবং তার উপর প্রচুর সংখ্যক বোল্ডার এসে পড়ায় উদ্ধারকার্যে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে। যদিও ওই বাসের ভিতর আটকে থাকা যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও যথেষ্ট কম বলে মনে করা হচ্ছে।