নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ দুর্গাপুর ব্যারেজের ২২ ও ১৭ নম্বর লক গেটের অবস্থা খারাপ থাকায় সেই লকগেট পরিবর্তন করার জন্য আজ থেকে ২৭ শে জুলাই অবধি রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪ টে পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজের ওপর যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার ভারী গাড়ি যাতায়াত করে। এর ফলে সমস্ত যানবাহনের প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার ঘুরে রানীগঞ্জের মেজিয়া হয়ে বাঁকুড়া যেতে হবে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে বীরভূম হয়ে বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গে যাওয়া আসা করার ক্ষেত্রে বড়ো রকমের সমস্যার সৃষ্টি হবে। কিন্তু দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স সহ যেকোনো জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলোকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, এক একটি গেটের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। অবশ্য গেটের মাপের ওপর খরচ নির্ভর করবে। যেমন ১৭ নম্বর ও ২২ নম্বর এই দুটি নতুন লকগেট ৪.৯ মিটার চওড়া এবং লম্বা ৮.২৫ মিটার। ৩৪ টি লকগেটের মধ্যে ১৭ টি মেরামত করা হবে। আর এই দুটি গেট একেবারে পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার গৌতম বোস জানান, “সেচ দপ্তর ট্রাফিকের সঙ্গে যোগসূত্র রক্ষা করে চলছে। অসুবিধা হলেও কিছু উপায় নেই”।
জেলার সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫২ সালে দামোদরের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ বছর পর সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা থাকলেও ৬৬ বছর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উলেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসে দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়ার পরেই লকগেট পরিবর্তন করার দাবী উঠেছিল। এরপর থেকে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা ধাপে ধাপে কাজ শুরু করেছে।