নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ শিশু হয়েও শারীরিক লালসার হাত থেকে রক্ষা পেল না মাত্র ছয় বছরের শিশুকন্যা। পূর্ব বর্ধমানের উত্তর সদর মহকুমার ভাতার থানার খেরুর গ্রামে যমুনাদিঘি পাড়ায় এক শিশুকন্যাকে প্রতিবেশী যুবক বাড়ি থেকে মুখে চাপা দিয়ে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করলো। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, শিশুকন্যার মা-বাবা দুজনেই দিন মজুরির কাজ করেন। দম্পতির দু’টি কন্যা সন্তান আছে। বাড়িতে শিশুদের শুয়ে রেখে কাজে গিয়েছিলেন। সেই সময় ২২ বছর বয়সী তীর্থ বাগ ওরফে লাদেন নামে সাড়ে ছয় বছরের ওই শিশুকন্যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্যানেল পাড়ে একটি সাবমার্সিবল পাম্পের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর শিশুটির মা কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তারপর কয়েক ঘন্টা পর শিশুকন্যাটি সারা গায়ে কাদা মেখে প্রচণ্ড অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে। তখনই তীর্থের কুকীর্তির কথা মাকে জানালে এলাকাবাসীরা ক্ষোভে ফেটে প্রতিবেশীরাই ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এর পাশাপাশি ওই শিশুকন্যাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল এই নির্মম ঘটনার জেরে ভাতার থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে।