পুলিশে চাকরী দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে আটক ৪ জন
দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ কলকাতায় পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরী দেওয়ার প্রতারণা চক্র গজিয়ে উঠেছিল। প্রতারণা চক্রটি ভুয়ো পুলিশকর্তা সেজে বেকারদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করতো। গতকাল কলকাতা পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চার জন প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে একজন মালদার গাজোল ব্লকের ঘাকশোল গ্রামের বাসিন্দা রবি মুর্মু।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, “প্রায় ১৬ বছর ধরে রবি গ্রামে আসেনি। কিন্তু চাকরী দেওয়ার নাম করে এলাকা থেকে অনেক টাকা তুলেছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তার মা ছামি হেমরমেরও রবির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তবু ছেলের মুক্তি চাইছেন। চাইছেন, একবার ছেলেকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হোক”।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবি খুব ভালো খেলোয়াড় ছিল। খুব পরিশ্রম করেই চাকরীটা পেয়েছিল কিন্তু চাকরী পাওয়ার কয়েক বছর পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে। চাকরী দেওয়ার নাম করে অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এরপর থেকে আর গ্রামে আসে না। প্রায় ১৬ বছর ধরে গ্রামে আসেনি এমনকি বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বাড়িতে আসেনি।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারী আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে চাকরী দেওয়ার নামে টাকা তুলছিল। এদের মধ্যে গাজলের ঘাকসল গ্রামের এই যুবক রবি মুর্মু ছিল।
পুলিশের চাকরী পাওয়ার কয়েক বছর পর থেকে চাকরী দেওয়ার নাম করে গ্রামের বহু লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে আর গ্রামে পা রাখেননি। অবশেষে বুধবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। ভুয়ো ডিএসপি সেজে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল। এই ঘটনায় রবির সঙ্গে আরো তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।