নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পূর্ব মেদিনীপুরঃ বর্ষার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের দনিপুরে রূপনারায়ণ নদীতে পাড়ের ভাঙন রোধের কাজ আটকে পড়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি কমে যেতেই সেচদপ্তর শীঘ্র পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু করেছে।
দনিপুরের কাছে রূপনারায়ণ নদের গভীরতা বেশী হওয়ায় জলস্রোতও বেশী হয়। তাই ওই অংশের নদী পাড় ভেঙে যায়। ফলে সেচদপ্তর নদী পাড়ের ভাঙ্গন রুখতে পাড় বরাবর বাঁশের খাঁচা তৈরী করে ভাঙনের মুখে ফেলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার ভরাকোটালের জোড়া ফলায় জলস্ফীতি কারণে নদীর বাঁধ বরাবর ১৮০ মিটার ক্ষয়ে যাওয়া অংশে পাড় থেকে নদীর দিকে চারটি স্তরে ৩০ মিটার চওড়া বাঁশের খাঁচা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম স্তরে নীচ থেকে চারটি, দ্বিতীয়স্তরে তিনটি, তৃতীয় স্তরে দুটি এবং চতুর্থ স্তরে একটি করে খাঁচা ফেলা হচ্ছে।
এই কাজের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা খরচ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেচদপ্তরের ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্য জানান, “গভীর চ্যানেলের কারণে দনিপুরের ওই অংশে নদীর তীব্র স্রোত থাকে। এরফলে নদীর ওই অংশে সবসময় ভাঙন লেগেই থাকে। বাঁশের খাঁচা দেওয়ার ফলে নদীর স্রোত পাড় বরাবর সরাসরি ধাক্কা দিতে পারবে না। এতে ভাঙন কমে যাওয়ার পাশাপাশি পলিও সঞ্চয় হবে”।
সেচদপ্তরের তরফ থেকে বাঁশের খাঁচা ফেলার সাথে সাথে নদীর পাড়ের ক্ষয়ে যাওয়া অংশে বালির বস্তা দিয়ে ভরাট করার কাজ করা হচ্ছে। সেচদপ্তর দ্রুত নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ শেষ করতে চায়।