ব্যুরো নিউজঃ তাইওয়ানঃ এবার যথাযথ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ঘটে গেলো ছাত্রের মৃত্যু। তাইওয়ানে জুডোর প্রশিক্ষক শরীর মজবুত হওয়ার জন্য এক সাত বছরের ছাত্র হুয়াংকে বারবার শক্ত মেঝেতে আছড়ে ফেলছিল। দু-তিনবার ছুঁড়ে ফেলার পরই হুয়াং জুডো প্রশিক্ষক হোকে বলে, “তার খুব লাগছে”। তাতে প্রশিক্ষক আরো উত্সাহিত হয়ে ছোটো ছেলেটাকে শক্ত মেঝেতে দ্বিগুণ গতিতে আছড়ে ফেলতে শুরু করে। এরপর ১০-১১ বার ছোঁড়ার পর হুয়াং বমি করে। বমি করায় কাজ হচ্ছে বলে প্রশিক্ষক পুনরায় গুণে গুণে ২৭ বার হুয়াংকে মাটিতে ফেলতে থাকে। তারপর হুয়াং গুরুতর জখম হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা জানায়, হুয়াং মাথায় তীব্র আঘাতের ফলে কোমায় চলে যায়। তার মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়। গত ৭০ দিন ব্রেন হ্যামারেজের জেরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে কোমায় ছিল। অবশেষে আজ মারা গেছে।

- Sponsored -
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, হুয়াং বড়ো জুডো খেলোয়াড় হতে চেয়েছিল। তাই জুডোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জুডোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিল। জুডোর বেসিক মুভমেন্ট না জানা সত্ত্বে প্রশিক্ষক কঠিন জুডো টেকনিকের মাধ্যমে মাটিতে ছুঁড়ে বাঁচার কৌশলের মতো কঠিন প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একজন শিক্ষার্থী জানায়, “হুয়াং বারবার বলছিল, স্যার আমার মাথা খুব ব্যথা করছে। আমায় ছেড়ে দিন। কিন্তু প্রশিক্ষক কথা না শুনেই হুয়াংকে মাটিতে জোড়ে জোড়ে আছাড় দিতে থাকে”। সেই ক্লাসে তার কাকাও উপস্থিত ছিলেন। কাকা সেই প্রশিক্ষককে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও কোচ সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করে জানিয়েছিলেন, “জুডোকা হতে হলে এটুকু কষ্ট করতেই সহ্য করতেই হয়”।
অবশেষে নির্বোধ প্রশিক্ষকের জন্য একটি তরতাজা শিশুর প্রাণ চলে গেল। তাই এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য শেষমেশ পুলিশ প্রশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।