‘তৃণমূলকে শেষ করতে পারেনি, আবার বিজেপিকে’, মুকুলকে কটাক্ষ দিলীপের
দ্বিজেন্দ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ঃ বীরভূমঃ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই মুকুল রায় হুংকার দিয়েছিলেন “দেখতে থাকুন”। এর পর পরই মুকুল রায় বিজেপির একাধিক নেতা, সাংসদ ও বিধায়কদের সাথে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন বলে জানা যায়। এরই মাঝে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলে যোগ দিলেন।
গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই মুকুল রায় ফের একবার নিজের মুখ খুললেন এবং বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়ে জানালেন, “এটা শেষের শুরু। বিজেপি যেখানে নিজেদের শক্তিশালী বলে দাবী করছে সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই আগে ওই দলে ভাঙন ধরলো। এরপর আরো দেখবেন”। কিন্তু মুকুল রায়ের এই চ্যালেঞ্জকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাত্তা দিতে চান না।
দিলীপ ঘোষ সিউড়িতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায়ের এই চ্যালেঞ্জের পাল্টা কটাক্ষের সুরে জানান, “যে লোকটা তৃণমূলকে শেষ করতে পারেনি সেই লোকটা বিজেপির মত অল ইন্ডিয়া পার্টি কি শেষ করবে? ওইসব লোকের কথায় কিছুই যায় আসে না। আমরা রাহুমুক্ত হয়েছি এতেই খুশী”।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর অভিযোগ করেছেন, “বিজেপি জেলার নেতাদের কখনোই গুরুত্ব দেয় না”। এর পাল্টা হিসেবে দিলীপ ঘোষ দাবী করেছেন, “এতদিন তো ছিলেন। তাদের উপর দলের জেলার দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে কি প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে? পার্টি যথেষ্ট গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছে। যাদের পোষায়নি তারা পার্টি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন”।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের দলবদলে রাজনীতি চললেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল সবথেকে বেশী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর এখনো সেই রাজনীতি অব্যাহত রয়েছে। ভোটের আগে এবং ভোটের পরে একাধিক নেতা-নেত্রীদের দলবদল করতে দেখা যাচ্ছে।