রাজ খানঃ বর্ধমানঃ আংশিক লকডাউনের জেরে রাজস্থানের পলবা জেলা থেকে আসা চীনামাটির সরঞ্জাম বিক্রেতারা কঠিন সমস্যায় পড়েছেন। যখন গতবছর লকডাউন হয়েছিল তখন ওই বিক্রেতারা এসে বর্ধমানের শক্তিগড় এলাকায় উঠেছিলেন। এবারে তারা প্যামড়া এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এসেছেন। কিন্তু আংশিক লকডাউন তথা বিধিনিষেধের কোপে পড়ে এখন এই বিক্রেতাদের দু’বেলা খাবার খাওয়ার পয়সাই জুটছে না।
https://www.youtube.com/watch?v=OoyVTd7i-Jw
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereরামপ্রকাশ রাঠোর বলেছেন, “প্রতিবছরই তারা রাজস্থান থেকে বিভিন্ন জেলায় জেলায় আসেন। গত কয়েকবছর ধরে বর্ধমানে আসছেন। এর আগে বিক্রিবাট্টা ভালো হলেও গতবছর থেকে করোনার জেরে লকডাউনের কোপে পড়ে ব্যবসা নেই। মালপত্র নিয়ে রাস্তার পাশে অসুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছেন। রাস্তাঘাটে লোক নেই। জিনিসপত্র কিনবে কে?”
Sponsored Ads
Display Your Ads Herehttps://www.youtube.com/watch?v=3sgkTAZaN-k
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereরামপ্রকাশ রাঠোর আরো জানিয়েছেন যে, “লোকজন আসা যাওয়া শুরু হলে হয়তো জিনিসপত্র বিক্রি হবে। কিন্তু কবে কাটবে এই মন্দা? করোনা আর লকডাউন কবে বিদায় নেবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ফলে প্রচুর রকমারী, মনোহরা ঘরসাজানোর উপকরণ নিয়ে ফুটপাতের ওপরই কঠিন সমস্যায় দিন কাটছে”।
এছাড়া দু’মাস তারা এই প্যামড়া এলাকায় থাকবেন। এরপর অন্যত্র চলে যাবার চিন্তা করেছেন। তবে তা কিভাবে সম্ভব তাও বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ করোনার সংক্রমণ না কমলে লকডাউন উঠবে না। এর ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। তার ফলে অসহায় হয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাস্তার ফুটপাতকেই ভবিতব্যকে মেনে দিন কাটাচ্ছেন। যার জেরে দু’বেলা খাবারের পয়সা জোটানোই চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।