মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ রাজ্য সরকার অনুমোদিত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরানোর অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি বারাসাতের সেবায়ন নার্সিং হোমের বিরুদ্ধেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার রাজ্য সরকারের এই ঘোষণাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলো উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতের Care & Cure Hospital.
জানা গেছে, গত ২৮ শে মে ৭১ বছর বয়সী বারাসাতের বাসিন্দা গণেশ ঘোষাল বারাসাতের নবপল্লীর Care & Cure Hospital এ ভর্তি হয়েছিলেন।
পরিবার সূত্রে অভিযোগ ওঠে যে, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণেশ বাবুর কাছ থেকে করোনা টেস্টের জন্য দেড় হাজার টাকা নেন। এছাড়া চিকিৎসা চালানোর জন্য আরো ১০ হাজার টাকা জমা করতে বলেন। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখানো হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেয়নি। এর ফলে বাধ্য হয়ে পরিবারকে চিকিৎসার খরচ বাবদ বাকি ৩৪ হাজার টাকা মেটাতে হয়”।
পরিবারের তরফ থেকে পুরো বিষয়টি জেলা পুরপ্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পর সুনীল মুখোপাধ্যায় বারাসাতের সমগ্র বেসরকারী হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমের কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেন।
সুনীল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের নিয়মকে মানতে হবে। এর পাশাপাশি হাসপাতালের বেড সংখ্যা কত আছে? হাসপাতালে কত জন রোগী ভর্তি আছে? হাসপাতালে ক’টি বেড খালি রয়েছে? সেই তালিকা বাইরে নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবে সরকারী নিয়মের অমর্যাদা করা যাবে না”।