তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হলে পাল্টা বিজেপিও চড়া হয়
দ্বিজেন্দ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ঃ বীরভূমঃ শুক্রবার রাতে এক-দেড়শো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত খয়রাশোল ব্লকের মুক্তিনগর গ্রামে হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এছাড়া তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় চড়াও হয়ে বোমাবাজি ও এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। আর এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে পাল্টা ওই দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। এছাড়া দুষ্কৃতীদের অজস্র বাইক ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাদের মারধর করা হয়। সূত্র মারফত জানা গেছে তাদের একজন মৃত।
গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটের পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় এসে হুমকি দিচ্ছে। এরপর গতকাল রাতে গ্রামে চড়াও হয়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করলে পাল্টা ওই গ্রামের বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা গ্রামবাসীদের কাছে তাড়া খেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও তাদের বাইকগুলি নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বাসিন্দারা ওই সকল বাইকগুলি ভাঙচুর করে ও একাধিক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারধর করে।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনার সময় আরো একজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী পালিয়ে যেতে গেলে তাকে পাঁচরা গ্রামের বাসিন্দারা ধরে ফেলেন। তারপর ধৃত ওই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বোমাবাজি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ ওই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে এই ঘটনায় পাঁচরা এলাকার একটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বাড়ি-গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে অ্যাডিশনাল এসপি নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে খয়রাশোল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।