ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হরিশ্চন্দ্রপুর
দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ ভোট শেষ কিন্তু এরপরেও বঙ্গে হিংসা ও সংঘর্ষের ঘটনা যেন কিছুতেই কমছে না। ভোট হচ্ছে গনতন্ত্রের উৎসব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় নির্বাচনের আগেও যেমন সন্ত্রাসের ছবি আর নির্বাচনের পরেও তাই ছবি।
গতকাল রবিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই নানান জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার খবর আসছে। খবর অনুযায়ী, সোমবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভার ২৩৩ নম্বর বুথ সভাপতি বাবু রবি দাসের বাড়িতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা হামলা চালায়। পরিবারের লোকজনকেও মারধর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে গতকাল গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল মোড়ে এক বিজেপি কর্মী কালু দাসের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল এটি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা থেকে হাওড়া কোথাও বাদ যায়নি। আগেই বিরোধী দলের নেতারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
বাবু রবি দাসের মা রেবতী রবি দাস বলেন, “আমার ছেলে বিজেপির বুথ সভাপতি। আমি এবং আমার মেয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা মিছিল করতে করতে আসছিল। এরপর এসে সোজা আমার বাড়ির ছাদের টিনে লাঠি চালায়। এর প্রতিবাদ করায় দুই তিন জন মিলে আমাকে ধরে রাখে। তারপর আমার বাড়ি ঢুকে বাড়ি ভাঙচুর করে ও ছেলের উপর হামলা চালায়”।
বিজেপি মালদা জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেছেন, “কালকের পর থেকে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নানান জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এটাই বলতে চাই যে জয়ী হয়ে জনসাধারণের কাজ করুন। পাঁচ বছরের জন্য মানুষ আপনাদের এনেছে তাই মানুষের জন্য কাজ করুন। আমাদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠীকোন্দল নেই। এগুলো ভিত্তিহীন কথা”।
তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান জানিয়েছেন, “এর আগেও মানুষ দেখেছে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। এগুলো বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফলাফল। বিজেপি তৃণমূলের উপর মিথ্যা অভিযোগ আনছে”।
ভোটের ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তারই মাঝে রাজনৈতিক গোলমাল শুরু হয়ে গেল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছে। বিজেপি বেশীরভাগ জায়গা থেকে আক্রান্ত হচ্ছে। এই ঘটনাগুলোতে একমাত্র অভিযুক্ত শাসক দল।