নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ আবারও কাঠগড়ায় যোগী রাজ্য। এবার চিকিৎসক রেজার ব্লেড ব্যবহার করে অন্তঃসত্ত্বার সিজার করল। ফলে প্রসবের পরেই মা ও সদ্যোজাত শিশু দু’জনেরই মৃত্যু হল। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর জেলায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্টেশন হাউস অফিসার অমরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “পুনম নামে ওই মহিলার প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পরে তাকে তার স্বামী রাজারাম মা সারদা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের মালিক রাজেশ সাহনির পক্ষ থেকে পুনমের স্বামীকে বলা হয়, এই ক্লিনিকে কম পয়সায় সিজার করে দেওয়া হবে আর তাতে রাজারামও রাজি হয়ে যান। এরপর অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেও কোনো খবর না আসায় রাজারাম ভেতরে ঢুকে দেখেন অপারেশন টেবিলের তার স্ত্রী পুনম পড়ে রয়েছে। সারা পেট শেভিং ব্লেড দিয়ে কাটাছেঁড়া। চারিদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এমনকি তাদের সন্তানও মারা গেছে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুনমকে ১৪০ কিমি দূরে লখনউয়ের কেজিএমইউ ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়”।
এই ঘটনার জেরে রাজারাম এই ক্লিনিকের ভুয়ো চিকিৎসক রাজেন্দ্র এবং তার সঙ্গী রাজেশ সাহানির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জানতে পারেন যে সুলতানপুরে এরকম নানা অবৈধ ক্লিনিক আছে। আর যারা এই ক্লিনিকগুলি চালায় তারা আদতে চিকিৎসক নন। দীর্ঘ দিন ধরে ভুয়ো লাইসেন্স দেখিয়ে এই ধরণের ক্লিনিকগুলি চলছে। এছাড়া যিনি এই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি স্কুলের গণ্ডিও পার করেননি।
তারপর পুলিশ রাজেন্দ্র ও তার সঙ্গীকে আটক করেছে। এর পাশাপাশি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নার্সিং ট্রেনিংপ্রাপ্ত না হওয়ার পরেও নার্সের পরিচয় থাকা বেশ কিছু মহিলাকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এর আগে এরকম কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল কিনা কিংবা গ্রামের আর কোথাও এই ধরণের কোনো ক্লিনিক হয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আর পুলিশ এই অবৈধ ক্লিনিকগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুলতানপুরের সিএমও কেও চিঠি দিয়েছে।