নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ গত অক্টোবর মাস থেকে দিল্লি সরকার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১২টি কলেজের শিক্ষকদের বেতনের অর্থ বরাদ্দ করেনি। এর প্রতিবাদে গতকাল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ি পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর আজ এইসব কলেজের অধ্যক্ষরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এইসব কলেজের কর্মীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, বিএনসি কলেজের জন্য ১.৫ কোটি টাকা, ভাস্করচার্য কলেজের জন্য ৪.১৬ কোটি টাকা, শহিদ সুখদেব কলেজের জন্য ৩২.৫ লাখ টাকা, মহারাজা অগ্রসেন কলেজের জন্য ৩.২৫ কোটি টাকা, দ্বারকার ডিডিইউ কলেজের জন্য ৬.২৫ কোটি টাকা, গোবিন্দপুরির এএনডিসি কলেজের জন্য ৬.২ কোটি টাকা, শহিদ রাজগুরু অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস ফর উইমেন কলেজের জন্য ১.৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। বাকি কলেজগুলোর মধ্যে ড. ভীমরাও আম্বেদকর কলেজ, অদিতি মহাবিদ্যালয়, কেশব মহাবিদ্যালয়, মহাঋষি বাল্মিকী কলেজ অফ এডুকেশন এবং ইন্দিরা গান্ধি ইনস্টিটিউট অফ ফিসিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স রয়েছে।
একটি স্মারকলিপিতে মুখ্যমন্ত্রী ও উপাচার্যের কাছে দেওয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই প্রথম দিল্লি সরকারের তরফ থেকে বেতন সহ পেনশন দেওয়ার টাকা আটকানো হলো। গত এক বছরে ১২ টি কলেজের বরাদ্দ অপর্যাপ্ত ছিল। যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতন এবং পেনশন নিয়ে সমস্যা চলছিল।
গত অক্টোবর মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় অধ্যাপক সংগঠন ডুটা ১১ ই মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। ডুটা সভাপতি রাজীব রায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার পর গত শুক্রবার দিল্লি সরকারের তরফ থেকে বেতন খাতে ৮২.৭৯ কোটি টাকা ও বেতন ছাড়া অন্যান্য খাতে ৯.৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়।