দেবব্রত মন্ডলঃ বাঁকুড়াঃ “দশ বছর তৃণমূল ও সাত বছর বিজেপি মানুষকে ধোকা দিয়েছে। শুধু এখানকার মাল ওখানে এবং এখানকার মাল ওখানে। শোরুম দু’টো আলাদা কিন্তু গুদামটা কালীঘাটে। তাই আমাদের গুদাম ও শোরুম দু’টোকেই দেখতে হবে”। শনিবার বাঁকুড়ার সোনামুখীর বি.জে হাই স্কুলে দলীয় এক কর্মীসভায় কেন্দ্র এবং রাজ্যের দুই শাসক দলকে ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। একই সঙ্গে এদিন বর্তমান পরিস্থিতিতে উপস্থিত দলীয় কর্মীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো ও মিছিলে হাঁটার পরামর্শ দেন।
মহম্মদ সেলিম এদিন বিখ্যাত সিনেমা ‘শোলে’র উদাহরণ টেনে বলেন, “তৃণমূল এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ। এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। একই সঙ্গে ওই দুই দল ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএরপর তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, “দিল্লীর সরকার যদি এতোটাই কৃষক দরদি তাহলে রাস্তা কেটে, রাস্তার পেরেক পুঁতে আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা হচ্ছে কেন? এই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন এই বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা”।
এদিন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো মোহাম্মদ সেলিম সোনামুখীর একটি কর্মীসভায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “জেপি নাড্ডা নাটক করছে। নাটক আর বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য আছে। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে এসে হঠাৎ আদিবাসীদের বাড়িতে তপশিলি দের বাড়িতে কলাপাতায় পাত পেড়ে বাসমতি চালের ভাত খাবে। তাঁরা কোনোদিন আমাদের আদিবাসী, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘর চলে কিভাবে সংসার চলে কিভাবে তার খোঁজ নিয়েছে! তারা তপশিলি দের বাড়িতে খাচ্ছে মতুয়াদের বাড়ি গিয়ে খাচ্ছে এগুলি সব নাটক আসলে ওরা খাওয়াটাই ভালো বুঝেছে। গোটা দেশটাকে কুরে কুরে খাচ্ছে আর এখানে এসে আদিবাসী তপশিলিদের বাড়িতে খাচ্ছে”।