নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ কচ্ছপের মতো বিলুপ্তময় প্রাণীকে আটক করা আইন অমান্য অপরাধ। আর সেখানে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দুর্ঘটনায় উল্টে যাওয়া একটি মাছ বোঝাই গাড়ি থেকে চারশোর বেশী কচ্ছপ উদ্ধার করা হল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মেমারি-তারকেশ্বর রাজ্য সড়কে জামালপুর থানার চৌবেড়িয়া পুলের কাছে একটি ছোট মালবাহী গাড়ি উল্টে যায়। তার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টহলদারি পুলিশের গাড়ি পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক বা খালাসি কাউকে দেখতে পায়নি। তারা গাড়িটিতে মাছের কন্টেনার দেখে মাছবাহী গাড়ি বলেই মনে করে। এরপরে ক্রেন এনে গাড়িটি তোলার সময়ে দেখা যায় মাছের কন্টেনারের নীচে বেশ কয়েকটি বস্তায় কিছু ভরা রয়েছে। তারপর বস্তার মুখ খুলতেই পুলিশ দেখে বস্তাগুলিতে কচ্ছপ ভরা আছে।
জামালপুর থানার ওসি অরুণ সোম বলেছেন, “দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গাড়িটি থেকে ১৬ টি বস্তায় মোট ৪০২ টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। কচ্ছপগুলি এদিন বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কচ্ছপবাহী গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে কচ্ছপ পাচারে জড়িতদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে”।
এই প্রসঙ্গে বর্ধমানের বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে কচ্ছপ পাচারকারীরা এখন পাচারের কৌশল পরিবর্তন করেছে। এতদিন যাবৎ বিহার হয়ে আসা বিভিন্ন ট্রেন থেকে কচ্ছপ উদ্ধার হচ্ছিল। বর্ধমান জিআরপি ও আরপিএফ সজাগ থাকায় কচ্ছপ সহ ধরা পড়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা। এবার তারা কৌশল বদলে মাছের গাড়িতে কচ্ছপ পাচারের পরিকল্পনা করেছে”।
এই ধরণের ঘটনার ফলে পুলিশের পাশাপাশি বন দপ্তরের পক্ষ থেকেও সড়কপথে নজরদারি আরো জোরালো করা হবে। এমনকি কচ্ছপ পাচার বন্ধ করতে প্রশাসনের তরফ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।