নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদা জেলার পুকুরিয়া থানার পরানপুরের কালিতলায় এক কিশোরকে অপহরণ করে তাকে খুন করার ঘটনায় তার তিন বন্ধু সহ এক বন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম অনীক দাস।
পারিবারিক সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা প্রায় ৬.৫০ নাগাদ অনীক বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর কিছুক্ষণ পর তার এক বন্ধু বাড়িতে ফোন করে তার খোঁজ করায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে তার খোঁজ শুরু করে তবে দীর্ঘক্ষণ খোঁজ করলেও তার খোঁজ পাওয়া যায় না। ঠিক কিছুক্ষণ পর তার মা তাদের বাড়ির সামনে একটি চিঠি পান। তারপরই তারা আতঙ্কে চিৎকার করায় এলাকার প্রতিবেশীরা এসে সবাই মিলে তার সন্ধান করতে থাকায় শেষমেশ প্রায় দু’ঘণ্টা পর অনিকের বাড়ি থেকে ২৫ মিটার দূরে এলাকার এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে অনীকের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই পুকুরিয়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় মৃতের পরিবার আর এলাকাবাসীর জনরোশে পড়তে হয়েছিল তাদের। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাতে থাকে তারা।
পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা মৃ্তদেহটি ছেড়ে দেয়। তখন পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান কিশোরের গলায় ইলেকট্রিকের তার দিয়ে ফাঁস দেওয়া হয়েছে।
পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, অনীকের এক বন্ধু্র বাড়িতে গাঁজা বিক্রি সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম হত। তা জেনে ফেলাতেই অনীককে ওই বন্ধু এবং তার পরিবার খুন করেছে।
কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃত কিশোরের তিন বন্ধু সহ এক বন্ধুর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে তিনজন বন্ধুর কথায় অসংগতি ধরা পড়তেই তাদের আটক করে পুলিশ। তবে ওই কিশোরকে অপহরণ করে খুন করার কারণ জানতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানার পুলিশ।