চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্য পুলিশ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের অনুমতি না দিলেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ এই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। ২৬ জন ডিসি (ডেপুটি কমিশনার) পদমর্যাদার আধিকারিকও পথে থাকবেন পথে। সকাল ৮টা থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘‘দু’টি সংগঠনকে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সব রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ছয় হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। হাওড়া যাওয়ার পথে কম-বেশী উনিশটি জায়গায় ব্যারিকেড করা হবে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদল করা হবে বা নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে, নবান্ন অভিযানের সংগঠক ছাত্র সমাজের কাছে ইমেল করে তাদের কর্মসূচীর বিষয়ে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও তারা কিছু জানায়নি। অনুমতিও চায়নি। শুধু অভিযানের কথা জানিয়েছে।’’
এই মর্মে মঙ্গলবারের মিছিলকে ‘অবৈধ’ বা ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নবান্নের কাছে ওই মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, সেখানে নতুন ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইনের ১৬৩ ধারা (পুরনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা) জারি থাকে। অর্থাৎ সেখানে পাঁচ বা তাঁর বেশি জনের জমায়েত বেআইনি। সোমবার সকালের সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই তাঁদের কাছে দু’টি ইমেল এসে পৌঁছয় বলে জানিয়েছেন সুপ্রতিম। এর মধ্যে একটি ইমেল পাঠিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। কিন্তু তারা কোনও অনুমতি চায়নি। তারা শুধু পুলিশকে জানিয়েছে যে, মঙ্গলবার একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে চলেছে তারা।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্নে অভিযান যাবে ছাত্রসমাজ। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্র সমাজের ওই ইমেলে অনুমতি চাওয়া হয়নি। পাশাপাশি, কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম মেনে কর্মসূচি সংক্রান্ত যে সমস্ত জরুরি তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যেমন তাঁরা কোন পথে এগোবেন, কী কর্মসূচি , কোথায় অবস্থান করবেন, সেই সব তথ্যও জানানো হয়নি। আর সে জন্যই ওই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। দ্বিতীয় ইমেলটি এসেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে। সেই ইমেলে নিয়ম মেনে অনুমতি চাওয়া হলেও তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ নবান্নের কাছে ওই ধরনের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।