তৃণমূলের ভয়ে ঘর ছাড়া ৫০-৬০ টি পরিবার
স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। এবার ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজনৈতিক হিংসার শিকার হল একই গ্রামের মোট ৬০ টি পরিবার। রাতের অন্ধকারে নিজের জেলা ছেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে প্রাণে বেঁচে কোনোরকমে আশ্রয় নিল নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর এলাকায়।
অভিযোগ, রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের ঘোষণা হওয়ার পরপরই বর্ধমান জেলার কালনা থানার অন্তর্গত উদয়গঞ্জ গ্রামে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই গ্রামে ‘খেলা হবে ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ শ্লোগানের সাথে হামলা চালায়। একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মীদের পরিবারের একাধিক পুরুষ ও মহিলাদের মারধর করা হয়।
এই ঘটনায় যদি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিবারের শিশুদের মারধর করে তাই রাতারাতি ওই ৬০ টি পরিবার প্রাণে বাঁচতে শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুরে আশ্রয় নেয়। এই বিষয়ে অভিযোগের সুরে গ্রামবাসীরা জানান, “আমরা এতোটাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি যে পরিবার নিয়ে কি করে গ্রামে ফিরব তা এখনো বুঝতে পারছি না। তৃণমূলের লোকজন গ্রামে গিয়ে যেভাবে হুমকি দিচ্ছে এখন গ্রামে বসবাস করাটাই দায় হয়ে ঠেকেছে। গ্রামে ঢুকলেই নাকি প্রাণে মেরে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। একাধিকবার বর্ধমান জেলার কালনা থানাকে ফোন করলে সেখান থেকেও কোনো সুরাহা মেলেনি”।
এছাড়া আরো অভিযোগ ওঠে যে, “ভোটের দিন সকাল থেকেই তৃণমূলের লোকজন উদয়গঞ্জ গ্রামের আনাচে-কানাচে তাজা বোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। আমরা বিজেপি করি বলে ভোটের গণনা শেষ হতেই আমাদের উপরে হামলা চালায় কারণ আমরা বিজেপিকে সমর্থন করি। আমাদের ছোটো ছোটো বাচ্চা নিয়ে ঘর ছাড়া হয়েছি। এভাবে পালিয়ে পালিয়ে কতদিন থাকব? প্রশাসন যেন এর সঠিক বিচার করে না হলে গ্রামে ঢুকলে ওরা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলবে”।