নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ বীরভূমের সিউড়ি দুই নম্বর ব্লকের কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের খোসনাতোড় গ্রামে চোলাই মদ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। মহিলারা চোলাই সহ এক জন ব্যক্তিকে আটকে রেখে আবগারি দপ্তরে খবর দেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি কোনোক্রমে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের ভিতরে চোলাইয়ের কারবার চলছে। সূর্যাস্তের পর থেকেই গ্রামে মাতালদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফলে মেয়েদের রাস্তাঘাটে চলাফেরা করাই দায় হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় মহিলারাই চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে উদ্যোগী হলেন। এরপর আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’টি পাত্র থেকে প্রায় কুড়ি লিটার বেআইনী মদ উদ্ধার করেন। পরদিন সকালবেলা ফের ওই গ্রাম থেকে বেআইনী মদ বিক্রির অভিযোগ আসলে আবারও গ্রামে গিয়ে চারটি পাঁচ লিটার প্যাকেট থেকে মোট কুড়ি লিটার চোলাই উদ্ধার করা হয়।
গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার চোলাই বিক্রির সাথে যুক্ত। এর জেরে গ্রামের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি পরিবারেও অশান্তি লেগেই থাকত। গ্রামের মহিলা সমিতির তরফ থেকে একাধিকবার বিক্রেতাদের কারবার বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হলেও কাজ হয়নি। উল্টে বিক্রেতারাই তাদের নানা রকম হুমকি দিতেন।” ইতিমধ্যে আবগারি বিভাগ এই ব্যবসা করত কারা, তা তদন্ত করে দেখছে।
আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এর আগে ওই গ্রাম থেকে চোলাই বিক্রির অভিযোগ আসেনি। তবে এদিন যেহেতু মহিলারা চোলাই বিক্রেতাকে আটকে রেখেছিলেন, সেহেতু আবগারি আধিকারিকরা পৌঁছানোর আগেই অন্য বিক্রেতারা সচেতন হয়ে যায়। আর নিজেদের মালপত্র লুকিয়ে ফেলেন। এই কারণে ফলে গ্রামে একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও আর কিছু পাওয়া যায়নি। আর রাতেরবেলা গ্রামের মহিলারা আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের হাতে লিখিত অভিযোগ তুলে দেন।