চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে আহত ৪ জন

Share

দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ সামাজিক অনুষ্ঠানে চাঁদা চাওয়াকে নিয়ে বচসার জেরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ একই পরিবারের চারজন সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল এলাকার চার জন যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানার নোহাট্টা অঞ্চলের নাগরাই এলাকায়।

সোমবার রাতে স্থানীয়রা আহত অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ পরিবারের দুই সদস্যকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এদিকে আক্রান্ত পরিবার মঙ্গলবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানায় সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।


আক্রান্ত পরিবারের একজন সদস্য মোজাম্মেল হক পেশায় ইংরেজবাজার থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে। সে জানায়, “এলাকায় সামাজিক ধর্মীয় জলসার জন্য পাড়া থেকে তার পরিবারের কাছে চাঁদা চাওয়া হলে পরিবারের পক্ষ থেকে সেই মতো অবস্থায় ১৫০০ টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও এলাকা যুবক মোস্তাফা শেখ, ইজাজ আহমেদ, মফিজুল সেখ ও সাওরাউল শেখ ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য তার পরিবারের কাছে চাঁদার চাপ দেয়।

সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত মোস্তাফা শেখ দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। তখন তার ভাই গোলাম রাব্বানী দোকানের ভিতরে ছিল। তারা ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা চাইতে সে প্রতিবাদ করলে দোকানের মালপত্র কেনার জন্য রাখা নগদ ১৫০০০ টাকা অভিযুক্তরা ক্যাশ বাক্স থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। শুধু তাই নয় তরোয়াল দিয়ে তার গলায় কোপ মারার চেষ্টাও করে। তখনই পরিবারের দুই মহিলা সদস্য ভাইকে বাঁচাতে আসতে গেলে অভিযুক্তরা মহিলাদেরকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এমনকি এদের মধ্যে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকেও তারা প্রচণ্ড মারধর করে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে আসলে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।


আহতদের মধ্যে গোলাম রব্বানী এবং মেহেনাজ বিবিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা রবিনা খাতুন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মোজাম্মেল হক আরো জানিয়েছেন যে, “আমরা অভিযুক্ত চার যুবকের নামে লিখিত অভিযোগ করেছি আমরা এর উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাই। ইংলিশবাজার থানার আইসি মদন মোহন রায় জানিয়ে দিয়েহেন, “ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ”।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930