আচমকা চলে আসা এক দাঁতালের হামলায় প্রাণ হারান ৩ জন মহিলা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আলিপুরদুয়ারঃ আজ আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মেন্দাবাড়ির চিলাপাতার জঙ্গলে একটি হাতি ৩ জন মহিলার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর ১ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় হইচই ছড়িয়ে পড়ে। মৃতরা হলো ৪৫ বছর বয়সী রেখা বর্মণ, ৪৬ বছর বয়সী চাঁদমণি ওঁরাও ও ৫০ বছর বয়সী সুকরমণি কাছুয়ার। নিমা চারোয়া নামে এক জন মহিলা আহত হয়েও নিরাপদ জায়গায় সরে যান। এছাড়া বাকিরা পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালচিনি ব্লকের দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি এলাকা থেকে প্রায় দশ থেকে বারো জন মহিলা দুই দলে ভাগ হয়ে জঙ্গলে জ্বালানীর জন্য কাঠ আনতে গিয়েছিলেন। কাঠ সংগ্রহ করে ফেরার পথে আচমকা একটি দাঁতাল হাতি জঙ্গলের দিক থেকে তাদের দিকে তেড়ে আসে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই রেখা, চাঁদমণি এবং সুকরমণিকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারতে থাকে। এর জেরে ওই তিন জন মহিলার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আর নিমাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।


আবার সন্ধ্যেবেলা ঘটনাস্থলের কাছে হাতির হানায় এক জন মোটরবাইক আরোহীও আহত হয়েছেন। পুলিশ ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রেখা বর্মন এবং চাঁদমনি ওরাও নামে দু’জনের দেহ উদ্ধার করেছে। আগামীকাল ময়নাতদন্ত করা হবে। পাশাপাশি সুকরমণির খোঁজে জঙ্গলে তল্লাশি চলছে। এদিকে, এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব আহত মহিলাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। আর এই ঘটনায় অত্যন্ত শোকপ্রকাশও করেছেন।


জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পরভীন কাসোয়ান জানান, “আমরা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের হাতির গতিবিধি নিয়ে বার্তা পাঠাতে থাকি। তার পরেও হাতির হানায় তিন জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।” রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, “মনে হচ্ছে, গ্রামবাসীরা বন দপ্তরের সতর্কবার্তায় খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বিষয়টা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।” বন দপ্তরের একটি সূত্রের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে যে, “সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি হস্তিশাবক আহত হয়েছিল। আক্রোশের বশে মা-হাতি এই কাণ্ড ঘটাতে পারে।”


DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031