মিঠু রায়ঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আজ সাতসকালবেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিংয়ের গোপালপুরে পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিন জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের গোপালপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ২১ শে জুলাইয়ের কর্মসূচীকে সামনে রেখে একটি প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি ও ঝন্টু হালদার এবং ভূতনাথ প্রামাণিক নামে দুই জন বুথ সভাপতি ওই বৈঠকেই যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
এরপর স্বপনবাবু, ঝন্টুবাবু ও ভূতনাথবাবু কচুয়া এলাকার পিয়ার পার্কের কাছে পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা তাদের পথ আটকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এমনকি বোমাও ছোঁড়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, দুষ্কৃতীরা স্বপনবাবু, ঝন্টুবাবু এবং ভূতনাথবাবুর মাথা কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
তবে গুলি ও বোমার আওয়াজে এলাকার বাসিন্দারা বেরিয়ে এলে তারা বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রাস্তার ধারে জমি থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস জানান, ‘‘কয়েক দিন আগেই স্বপন খুন হতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিলাম।

- Sponsored -
আমি তাকে আমার কাছে আসতে বলেছিলাম পুলিশের কাছে নিয়ে যাব বলে কিন্তু তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল। আর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’ তবে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, ‘‘তৃণমূল বার বার বলে বিজেপিকে দেখা যায় না। বিজেপি বলে কিছু নেই। অথচ খুনের সময় দোষ চাপিয়ে দেওয়ার বেলায় বিজেপি। আসল কথা হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এলাকায় বড়ো দাদা কে হয়ে থাকবে তা নিয়েই তৃণমূলের মধ্যে গন্ডগোল।
তৃণমূলের দুই পক্ষের ঝামেলার জেরে এই খুন হয়েছে। এর আগেও ওই এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর তদন্তও হবে। কোনো এক জন ব্যক্তিকে শাস্তিও দেওয়া হবে। যদিও আসল মাথারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াবে।’’