নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ দেশের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহতার দিকে এগোচ্ছে। হাসপাতালের ভেতর থেকে বাইরে সব জায়গাতেই অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক করোনা রোগী প্রাণ হারাচ্ছেন।
আর অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি রাজধানীতেও করোনা পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক। গতকাল রাতে দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২০ জন রোগী মারা যান। এরপর আজ সকালে অক্সিজেনের অভাবে আরো ৮ জন রোগী মারা গেছেন।
এই বেদনাদায়ক ঘটনার পর জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডঃ ডি কে বালুজা জানান, “গতকাল রাতে অতি সংকটজনক অবস্থায় থাকা ২০ জন রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে। পরে আজ সকালে আরো ৮ জন রোগী মারা গেছেন। একেবারে অক্সিজেন শূন্য হয়ে গিয়েছিল তা ঠিক নয় কিন্তু অক্সিজেনের ঘাটতি থাকায় অক্সিজেনের চাপ কম ছিল”।
“এছাড়া হাসপাতালে ২১০ জন করোনা রোগী রয়েছেন। তাদের কাছে যে পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে তাতে শনিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্তই চলবে। এমনকি শুক্রবার বিকেল ৫ টায় আমাদের ৩,৬০০ লিটার অক্সিজেন পাওয়ার কথা ছিল। তবে আমরা তা রাত ১২ টায় ১,৫০০ লিটার পেয়েছি। প্রায় ৭ ঘণ্টার এই দেরীর জন্য অক্সিজেনের চাপ কমিয়ে রাখতে হয়েছিল। রিফিল করার পরও নতুন করে অক্সিজেনের চাপ তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে”।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে রাহুল গান্ধী টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “অক্সিজেনের অভাবে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি রাজ্য সরকার ও কংগ্রেস কর্মীদের আবেদন করব যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যথাসম্ভব পাশে দাঁড়াতে”।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের অমৃতসরে অক্সিজেনের অভাবে ৫ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যেই ব্যাঙ্গালোরের এক বেসরকারী হাসপাতালে ৬১ বছরের ১ করোনা রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এটি আত্মহত্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ জনের। প্রতিদিনই ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল।