নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কালিম্পংঃ গতকাল রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ কালিম্পং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বালুখোলাতে প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে সেবক-রংপো নির্মীয়মাণ রেলপথের টানেলে বড়োসড়ো বিপর্যয় ঘটে। ফলে সেই সময় মৃত্যু হয় কর্মরত ২ জন শ্রমিকের। আর আহত হয়েছেন ৫ জন শ্রমিক।
সূত্রের খবরের ভিত্তিতে জানা গেছে, এই খবর পেয়েই কালিম্পং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর জখম অবস্থায় সাত জন শ্রমিককে উদ্ধার করে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সালকু মুর্মু ও নরেশ সোরেন নামের এই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
পাশাপাশি ঠাকুর দাস, অশোক সিংহ, কুন্দন সিংহ, সুফল হেমব্রম এবং সুকেশ্বর সিংহ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঠাকুর, অশোক, সুফল ও সুকেশ্বর এই চার জন শ্রমিকও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। কুন্দন বিহারের বাসিন্দা। ঠাকুর এবং সুফলকে গুরুতর আহত অবস্থায় নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

- Sponsored -
কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার হরি কৃষ্ণ পাই বলেছেন, “এই অবধি বিশদে কিছু জানা যায়নি। যতদূর খবর মিলেছে গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে ধস নামে। ধসের জেরে কাদা-পাথরের মিশ্রণ টানেলে ঢুকে পড়ার জেরে কর্মরত শ্রমিকরা সেখানে আটকে পড়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে”। এই ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সেবক থেকে সিকিমের রংপো অবধি রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ২০০৯ সালে ৩০ শে অক্টোবর তত্কালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম যুক্তকারী রেলপথ তৈরীর কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি নির্মাণে মোট ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।
এই প্রকল্পে প্রায় ৪১ কিলোমিটার পথ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই থাকছে। সেখানে অভয়ারণ্য এবং হাতির করিডরও রয়েছে। দীর্ঘ রেলপথের প্রায় ৮৬ শতাংশই অংশই টানেলের মধ্যে পড়ে।