নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ অবশেষে ভুয়ো মোহর নিয়ে প্রতারণা করার অপরাধে এই প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলো। অভিযুক্তদের কাছ থেকে শতাধিক ভুয়ো মোহর উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতারকরা বাড়ি নির্মাণের সময় মাটি খুঁড়তে গিয়ে সোনার মোহর ভরা কলসি পাওয়ার গল্প ফেঁদেই নিরীহ মানুষকে বোকা বানাতো। বহু বছর থেকেই বীরভূমের বেশ কিছু থানা এলাকায় এই প্রতারণা চক্র চলছে। এমনকি এই চক্রের জাল বীরভূম ছাড়িয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তৃত ছিল। নানা সময়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার অভিযান চালানো হলেও কোনো লাভ হয়নি।
প্রতারকরা বিভিন্ন সূত্র মারফত ফোন নম্বর জোগাড় করে যে কোনো একজনকে টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়ে দলের একজন ফোন করে সোনার মোহর ভর্তি কলসি পাওয়ার গল্প বলে। এরপর পরিকল্পনামাফিক প্রতারকরা টার্গেট হওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে একটি আসল সোনার কয়েন দেখান। বিশ্বাস অর্জন করতে যে কোনো সোনার দোকানে গিয়ে এই সোনার কয়েন বা মোহরকে যাচাই করতেও বলা হয়।
প্রতারকরা ওই ব্যক্তির বিশ্বাস অর্জনের জন্য মোহর খাঁটি জানার পরেই আরো গল্প শোনায়। তারপর মোবাইলে মোহর ভর্তি কলসির ছবি পাঠানো হয়। ডিল ফাইনাল হলে প্রতারকদের ঠিকানায় টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। এরপরে বলে দেওয়া ঠিকানায় আসতেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি শুধুমাত্র ফোন নম্বর যে সব ট্রেনে পর্যটকদের যাতায়াত বেশী সেই সব ট্রেনে ভিড়ের মাঝে মোহর ভর্তি কলসি পাওয়ার গল্প জুড়েও মানুষকে ফাঁদে ফেলা হতো।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এমনই এক প্রতারণা চক্রের দু’জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা এলাকায় একটি গেস্ট হাউসের কাছ থেকে দু’জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের কাছে থেকে ২৪৫ টি জাল সোনার মোহর উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে”।