নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কুলি শাখায় নকল গহনা দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ পুলিশের হাতে গ্রেফতার দু’জন। ধৃতরা হলো কান্দি থানার আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা উত্তম পাল। কিন্তু বর্তমানে সালারে থাকে ও বীরভূম জেলার সিউড়ি থানার পাতেন্ডা গ্রামের বাসিন্দা দীপক চক্রবর্তী।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা যায়, উত্তম প্রায় একশো গ্রাম নকল সোনার গহনা ওই ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন জানায়। ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নথির কাজ শেষ করে গহনা খতিয়ে দেখায় সময় ওই গহনা নকল বলে জানতে পারে। এরপর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বড়ঞা থানায় খবর দিলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ প্রথমে উত্তমকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ওই চক্রের সাথে ৫০ বছর বয়সী দীপক নামে সিউড়ির এক জন বাসিন্দা জড়িত। তারপর পুলিশ তাকেও আটক করে। এরপর উত্তম এবং দীপককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই দু’জনেই অপরাধ স্বীকার করে বলে উত্তম ঋণ নেওয়ার পরে দীপকের কাছ থেকে গহনাগুলি নিয়ে আসে। দীপক ওই গহনা নকল জেনেই উত্তমকে দিয়েছিল। উত্তম বর্তমানে ওই ভাবে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়া সে বহু বেকার যুবককে চাকরী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরেই গ্রাম ছেড়ে সালারে থাকতে শুরু করে। পুলিশ এই ঘটনায় উত্তম ও দীপককে সাত দিনের পুলিশী হেফাজতে চেয়ে কান্দি আদালতে তোলে। বিচারক জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে তিন দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তরা আর কোনো ব্যাঙ্ক থেকে ওই নকল গহনা দিয়ে ঋণ নিয়েছে কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।