নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ রাজ্য জুড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে কখনো মাটি আলগা হয়ে ধস নামে তো কখনো প্রবল আকারে বন্যা দেখা দেয়। আর এবার বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ ও পাহাড়ের ধস প্রবণ এলাকার মানুষজন জল যন্ত্রণা ভোগ করছেন।
এরই মধ্যে পুজোর ছুটিতে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে হাজার হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। তিস্তা নদী কোচবিহারেও ফুলে ফেঁপে উঠেছে। মেখলিগঞ্জে জল ঢুকে তিস্তা নদীর জল রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এমত পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দা সফিক আনসারীর আট বছর বয়সী এবং দশ বছর বয়সী দুই শিশুকন্যা তোর্সা নদীর সামনে শৌচকর্ম করতে গিয়ে আচমকা পাড় ভাঙ্গার ফলে দু’জন নদীতে ভেসে যায়। তৎক্ষ্ণাৎ ওই দু’জন শিশুকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা হলেও শেষমেশ তোর্ষা নদীর প্রবল স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জলপাইগুড়ির নীচু এলাকাগুলি পুরোপুরি জলমগ্ন অবস্থায় আছে। এর মাঝখানেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফে আবারও গোটা উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কেদারনাথেও রাজ্যের অসংখ্য পর্যটক আটকে রয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অপরদিকে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর তৈরী অস্থায়ী মানকানালি সেতু বৃষ্টিতে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। পুজোর সময় জেলা পরিষদের উদ্যোগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কাকদ্বীপ এলাকায় অনবরত বৃষ্টির জেরে অধিকাংশ বাড়ি প্রায় জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়াও বকখালি পর্যটন কেন্দ্র গুলি বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরফলে জল ভোগান্তিতে প্রায় সমগ্র রাজ্যবাসী একেবারে জেরবার হয়ে পড়েছেন।