অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সল্টলেকের দত্তাবাদের ৪৮ বছর বয়সী স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যা খুনের ঘটনায় এবার আসামের গুয়াহাটি থেকে গোবিন্দ সরকার নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃত গোবিন্দ সরকারকে ট্রানজিট রিমান্ডে করে বিধাননগরে নিয়ে যাওয়া হবে। অভিযুক্ত তৃণমূলের কোচবিহারের বহিষ্কৃত নেতা সজল সরকারের গাড়ির চালক ছিলেন। বাড়ি কোচবিহার দু’নম্বর ব্লকের কাকড়িবাড়ি এলাকায়। এই নিয়ে এই খুনে গ্রেপ্তারীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ জন হয়েছে। তদন্তকারী জানান, “খুনের সময় সেখানে গোবিন্দ সরকার উপস্থিত ছিলেন।” জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত ২৮ শে অক্টোবর স্বপনবাবুকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নাম জড়ায়। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী এই বিডিওর উত্তরবঙ্গের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সোনা কিনেছেন। এই সন্দেহে স্বপনবাবুকে প্রশান্ত বর্মন ও তার সঙ্গীরা অপহরণ করে নিউ টাউনের এবি ব্লকের ৬৭ নম্বর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরদিন স্বপনবাবুর দেহ বাগজোলা খালপাড়ের যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার করা হয়। ৩১ শে অক্টোবর নিহতের পরিবারের লোকজন প্রশান্ত বর্মন এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অপহরণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় পুলিশ আগেই প্রশান্ত বর্মনের গাড়ির চালক রাজু ঢালি এবং উত্তরবঙ্গের এক ঠিকাদার তুফান থাপাকে গ্রেপ্তার করেছিল। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে গোটা ঘটনাটির তদন্তভার গিয়েছে। পাশাপাশি স্বপনবাবুর খুনের ঘটনায় সজল সরকার ও তার গাড়িচালক বিবেকানন্দ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও প্রশান্ত বর্মন আগাম জামিন পেয়েছেন।









