ধুবুলিয়ায় গলার নলি কেটে খুন ১ যুবক
স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি লজে এক যুবকের গলার নলি কেটে খুন করলো দুষ্কৃতীরা। এটি নদীয়ার ধুবুলিয়া বটতলার ঘটনা। জানা যায়, মৃত যুবকের নাম সৌরভ কীর্তনীয়া (২২)। তার বাড়ি তেহট্ট থানার বেতাই কড়ুইগাছি রথতলাপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সৌরভ বেতাই আম্বেদকর কলেজ থেকে বিয়ে পাশ করেছে। সে পরিবারে বাবা-মার সঙ্গেই থাকত। একমাত্র বিবাহিত বোন আছে। গ্রামে তাদের একটি ধান ভাঙানো কল সহ সামান্য কিছু জমিজমা রয়েছে। সৌরভ এলাকায় একজন ভালো ছেলে বলে পরিচিত ছিল।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৪ শে মার্চ সৌরভ মোবাইল সারাইয়ের জন্য কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। কিন্তু ওই দিন বিকালে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়ে সৌরভের বাবা শ্যামল কীর্তনীয়ার কাছে একটা ফোন আসে। তিনি ফোন পাওয়ার পর সেদিনই সন্ধ্যায় তেহট্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর থেকে তার কাছে একাধিকবার মুক্তি পণ চেয়ে ফোন আসতে থাকে।
উল্লেখ্য, মুক্তিপণের কল রেকর্ডিংও পুলিশকে শোনানো হয় বলে দাবী নিহতের পরিবারের।
অবশেষে পুলিশ ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান জানতে পারে। তারপর শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ ধুবুলিয়া বটতলায় ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশের একটি লজের বাথরুমে মৃত অবস্থায় সৌরভকে পড়ে থাকতে দেখে। তবে পুলিশ আসার আগেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। ধুবুলিয়া বটতলা এলাকায় একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশ সেগুলি থেকে খুনীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
তাছাড়া যে পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি নেই। সেই পরিবারের ছেলেকে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়ে অপহরণকারীরা কেন অপহরণ করলো? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তাহলে কি এই খুনের পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? তা নিয়ে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।