নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ আগামী ২৯ শে এপ্রিল বীরভূমের নানুরে নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূমের নানুর। ভোটগ্রহণের দিন এগোনোর সাথে সাথেই রাজনৈতিক হিংসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরে গতকাল সারারাত নানুরের সিঙ্গি গ্রামে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে তুমুল বোমাবাজি চলেছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নানুরের সিঙ্গি গ্রামে পঞ্চায়েত অফিসের কাছে বিজেপি কর্মীরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিচ্ছিল। আর সেইসময় রাস্তা দিয়ে তৃণমূল কর্মীর ছেলে ডোম পাড়ায় ব্যবসার কাজে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে জয় শ্রীরাম বলার জন্য জোর করতে থাকে। কিন্তু সে জয় শ্রীরাম বলতে অস্বীকার করাতে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। যার ফলস্বরূপ তার মাথা অনেকটা কেটে যায়।
আহত তৃণমূল কর্মী শেখ ফকিরের ছেলে শেখ বাপন জানান, “আমার বাবা এলাকায় তৃণমূল করে। আমরাও তৃণমূলকে সমর্থন করি তাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এইভাবে হামলা চালাল”।
আজ সকালে গ্রামবাসীরা বোমা পড়ে থাকতে দেখে শীঘ্রই বোলপুর থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। সারারাত ধরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোমাবাজি করে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে”।
যদিও বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই বোমাবাজির ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
তারা জানায়, “আমাদের কর্মীদের উপর বিজেপির গুন্ডারাই হামলা চালায়। এখন বিজেপি হেরে যাবে বলেই মিথ্যাচার করছে”।