নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ গতকাল রাতেরবেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানা এলাকার একটি গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো এক জন যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে গ্রামে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। সেখানে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবী, “অভিযুক্ত ও তার বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতা।” পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, “ধর্ষণের মতো ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত থাকলে, তা বরদাস্ত করা হবে না।”
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী এবং তার মা এক জন আত্মীয়ের বাড়ি থাকেন। আত্মীয়ের পরিবারের সকলেই ভিন্রাজ্যে দিনমজুরীর কাজ করতে গিয়েছেন। ঘটনার দিন ওই কিশোরী ঘরের ভিতরে ঘুমিয়েছিল। আর ওই কিশোরীর মা ঘরের বাইরের বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন। ঠিক তখনই অভিযুক্ত যুবক ঘরে ঢুকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। এরপর মেয়ের চিৎকারে মা ছুটে এলে যুবক ওই কিশোরীর মাকেও মারধর করে।
পরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এদিকে, রাতেরবেলাই পুলিশ ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। শেষমেশ আজ সকালবেলা পাশের একটি গ্রাম থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। আর পরে আদালতে হাজির করানোর হয়। পাশাপাশি ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নেটমাধ্যমে নিজের পোস্টে এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেন।
বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জানান, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের শাসনে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। এবার তৃণমূলের লোকজন আদিবাসীদের উপরেও অত্যাচার চালাচ্ছে।” অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, “যদি দলের কেউ এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকেন, তবে তার কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। বিজেপি সামাজিক সমস্যার বিষয়েও রাজনীতি খুঁজছে। গোটা দেশে মেয়েদের উপরে অত্যাচারের ঘটনায় তো বিজেপির অনেকেই যুক্ত বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”