নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মধ্যপ্রদেশঃ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে কাজের খোঁজে গিয়ে ধর্ষণ হলেন ১ জন আদিবাসী মহিলা। এমনকি ওই সময় দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেড় কিলোমিটার অবধি ছুটলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরির বাসিন্দা ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে কাজের খোঁজে উজ্জয়িনী আসেন। এরপর কাজ খুঁজতে খুঁজতে ইন্দিরানগরে পৌঁছান। সেখানে রাস্তায় তখন রতনলাল নামে এক বাইক চালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতেই রতন কাজ পাইয়ে দেওয়ার কাজ দেওয়ার নাম করে দম্পতিকে বাইকে চাপিয়ে তাজপুরের পিপলিয়া বিছিয়া গ্রামে নিয়ে যান। তারপর সেখানে একটি বাড়িতে দম্পতিকে রাখেন। তারপর ওই মহিলাকে ঘর পরিষ্কারের কাজ দেন। আর ওই মহিলার স্বামীকে বাজার করতে পাঠান।
এরপর রতন ও তার স্বামী চলে যাওয়ার পর ওই বাড়িতে ইমরান নামে রতনের এক জন সঙ্গী আসেন। আর ইমরানই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। তারপর কিছুক্ষণ পর রতনও ফিরে এসে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। তারপরই ওই মহিলা বিবস্ত্র অবস্থায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে দেড় কিলোমিটার ধরে ওই ভাবেই ছুটতে থাকেন। ওই সময় স্থানীয়রা তার সাহায্যে এগিয়ে আসলে গোটা ঘটনা শুনে তারাই পুলিশের কাছে খবর দেন। আর পুলিশ অভিযোগ পেয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৯ জনকে আটক করেছে। কিন্তু রতন ও ইমরানের নিখোঁজ হওয়ায় তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।