নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের সাতেঙ্গা বাড়ি এলাকায় নিজের দোকানের ভিতর থেকে ১ জন তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক চাপানউতরও শুরু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম মহাদেব বিষয়ী। বাড়ি নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে। মহাদেব বৃন্দাবনচক দক্ষিণ ২৫৩ নম্বর বুথের তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হলেও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে মহাদেবের সাতেঙ্গাবাড়ি বাজারে একটি ছোটো অস্থায়ী চায়ের দোকান রয়েছে। এদিন ওই দোকানের ভিতর থেকেই ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবী, “তাকে পিটিয়ে খুন করে দোকানের ভিতর ফেলে রাখা হয়েছে।”
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, “বুধবার ওই এলাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। এরপরই গভীর রাতে ওই তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করে তার দোকানের ভিতরেই ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানান, “মহাদেব এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়ই তার ওপরে চাপ দেওয়া হত। বার বার হুমকি দিয়েও দল বদল করাতে না পারায় পনেরো দিন আগে মহাদেবকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় এলাকার একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মী জড়িত।” রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী সব অভিযোগ অস্বীকার করে এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি দেশের সরকার চালাচ্ছে, একাধিক রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে, কোথাও আমরা খুনোখুনির রাজনীতি করি না। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা আগে তদন্ত করে দেখা হোক।”