নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশপুরের চড়কা গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলাকালীন বোমাবাজির জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী শেখ রফিকুল আলি নামে একজন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় তার ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
এরপর রফিকুল আলিকে প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু পরে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা অভিযোগ করেন, ‘‘আজ দুপুর ১ টায় কেশপুর বাজারে মহামিছিল হওয়ার কথা। এর আগে সিপিএম এলাকায় উত্তেজনা তৈরী জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সমর্থন করি না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কঠোর ভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। পুলিশকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সিপিএম এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। বোমা ছুঁড়তে গিয়ে আহত না কি বোমা ছোঁড়া হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। চিকিৎসক এবং পুলিশ আহত হওয়ার কারণ বলতে পারবে। হিংসাত্মক ঘটনা সমর্থন করি না।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে শিউলির সাহার অভিযোগ নিয়ে সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ জানান, ‘‘ওদের নেতারা ঘোষণা করছে সিপিএম নেই। আর এখন সিপিএমের ভূত দেখছে! যত দিন যাবে সিপিএমের ভূত দেখতে আরম্ভ করবে।’’
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘তোলাবাজি ও এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই গন্ডগোল। এতদিন ধরে যারা এখানে তৃণমূল করতেন তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। যারা তোলা বেশী তুলে দিতে পারবেন তারাই এখন নেতা। এতে বিজেপি জড়িত নয়। বিজেপি বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করে না।’’