মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটিতে দিনেদুপুরে গুলি চলাকে ঘিরে ১ জন তৃণমূল কর্মী খুন হলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। মৃতের নাম সন্তোষ যাদব। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। দুষ্কৃতীদেপর খোঁজে ইতিমধ্যেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের কোনও আধিকারিক এখন এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে প্রতিক্রিয়া এসেছে নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে-র কাছ থেকে। তিনি আবার সন্দেহ করছেন অর্জুন সিংয়ের লোকজনকে।
সন্তোষ যে এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী তা মানছেন বিধায়কও। তিনি বলছেন, “ও আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। গত লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং হেরে যাওয়ার পর থেকে ও বিভিন্নভাবে সমাজবিরোধীদের দিয়ে ওকে মারার চেষ্টা করেছে। গৌরিপুর ট্যাঙ্কের সামনে প্রথমগুলি চালায়। তারপর জোড়া বাড়ির সামনে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। প্রথমগুলিটা কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়গুলিটা কপালের ঠিক মাঝখানে লাগে। তৃতীয় গুলিটা নাকে লাগে।”
ঘটনার পর সন্তোষ যাদবকে আনা হয়েছিল নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই সেখানে ভিড় করেছেন এলাকার প্রচুর তৃণমূল কর্মী। যদিও অর্জুন সিং বলছেন, “বিকাশ বলে একজনের সঙ্গে ওর ঝামেলা ছিল। দু’বছর আগে বিকাশকে সন্তোষ যাদব গুলি মেরেছিল। কিন্তু ও বেঁচে গিয়েছিল। থানায় কমপ্লেনও হয়েছে। অনেকদিনের ঝামেলা ছিল। আজও ঝামেলা হয়েছিল। থানাতেও যাচ্ছিল। তারমধ্যে রাস্তাতেই এই কাণ্ড। এটা ওদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।”