নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ মহিষমর্দিনী পুজোর নবমীর দিন বর্ধমানের কালনায় মহিষমর্দিনী ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে ১ জন বালকের মৃত্যু হয়। মৃত বালকের নাম সৌমজিৎ কাহার। বয়স ১১ বছর। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাড়ি কালনার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের রাজীব গান্ধী মোড়ের বাসিন্দা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার অর্থাৎ নবমীর দিন সৌম্যজিৎ মায়ের সাথে ভাগীরথীর ঘাটে গিয়েছিল। এরপর পুজোয় দণ্ডি কাটার পরে মায়ের সাথে ভাগীরথীতে স্নান করতে নেমেছিল। কিন্তু সে সাঁতার না জানায় কোনোভাবে জলে তলিয়ে যায়। তারপর দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। আর জলের বিপদ আটকাতে ঘাট থেকে কিছুটা দূরে জলে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশের লঞ্চ নদীতে নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি প্রচুর পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার ঘাটের পাড়ে মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এতো নিরাপত্তার পরেও ওই বালকের খোঁজ না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কালনার উপ পুরপ্রধান তপন পোড়েল জানান, ‘‘ঘটনাটি দুঃখজনক। দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না।’’ পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সুশীল মিশ্র বলেন, ‘‘যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরে যদি কোথাও কোনো ত্রুটি থাকে তা দেখা হবে। তবে অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বর্ষায় ভাগীরথীর জল বেড়েছে। ঘোলা জলে বিপদের সম্ভাবনাও বেড়েছে।’’
এদিকে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগও প্রশাসনিক ত্রুটি মানতে না চেয়ে বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। কিন্তু বিষয়টিকে প্রশাসনিক ত্রুটি বলা যাবে না। পুজো নিয়ে প্রশাসন এবং পুজো কমিটি যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। ভাগীরথীর জল বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু ঘাট বন্ধও রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় নদীতে নামলে সাবধান হতেই হবে।’’ উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যাবেলা কালনা পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের এক জন যুবক ছাড়িগঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। আবার মঙ্গলবার সকালবেলা ২৮ বছর বয়সী সঞ্জয় হাঁড়ি নামে এক জন যুবকের মৃতদেহ মহকুমাশাসকের বাংলোর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।