অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত বিদ্যাসাগর সরণিতে বহুতল আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হলো এক মহিলার। মৃতা ৪৭ বছর বয়সী ধীমানা রায় হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি বিদ্যালয়ে পড়াতেন। ঘটনার সময় বাড়িতে স্কুল পড়ুয়া ছেলে অরিঞ্জয় ও রাঁধুনি ছিল। আর স্বামী স্বরূপ রায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার পৈতৃক বাড়িতে ছিলেন।
গতকাল আবাসনের পিছন দিকে জলাধারের পাশে ধীমানা দেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সেখানকার বাসিন্দারা পুলিশের কাছে খবর দিতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাস থেকে ধীমানা দেবীর চোখে কিছু সমস্যা শুরু হয়। দৃষ্টিশক্তিরও সমস্যা ছিল। পরবর্তী কালে মানসিক অবসাদের কারণে চিকিৎসকের কাছেও যেতেন। কিন্তু আত্মঘাতী হওয়ার কোনো ইঙ্গিত ধীমানা দেবীর ব্যবহারে প্রকাশ পায়নি।
বাড়ির রাঁধুনি বলেন, ‘‘কাল আমার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। অস্বাভাবিক কিছুই তো চোখে পড়েনি। স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেছিলেন।’’
ওই শিক্ষিকা ঝাঁপ দিয়েছেন না অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছেন তা ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। তবে গতকাল রাত অবধি ওই শিক্ষিকার পরিবারের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা না হলেও পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলে মৃত্যু্র কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেন্সিক বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার জন্য।