নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ হাওড়ার উলুবেড়িয়ার গঙ্গায় দ্বাদশ শ্রেণীর তিন জন বন্ধু স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল সৌম্যদীপ চক্রবর্তী নামে ১ জন। সৌম্যদীপ স্থানীয় রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। বাড়ি রাজাপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সৌম্যদীপের বাবা সমীর চক্রবর্তী গুজরাতে জরির কাজ করেন। সৌম্যদীপ পড়াশোনার পাশাপাশি পুরোহিতের কাজও করে। আর দুই বন্ধুর মধ্যে সুশান্ত দলুই ওই গ্রামের ও আদিত্য ভট্টাচার্য উলুবেড়িয়ার লতিবপুরের বাসিন্দা। এদিন সুশান্ত গঙ্গাস্নানে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে সকলেই সেখানে যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বেলা ১১টা নাগাদ নদীতে ভাটা চলছিল। সুশান্ত স্নান করে উঠে পড়লেও আদিত্য এবং সৌম্যদীপ লাগোয়া বনস্পতি খাল সাঁতরে উল্টো দিকের উলুবেড়িয়া কালীবাড়িতে গিয়ে প্রণাম করে আসবে বলে ঠিক করে। সেই মতো কিছুটা যাওয়ার পরেই তারা তলিয়ে যেতে থাকে। তবে সুশান্ত গোটা বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর তার চিৎকারে এক জন মৎস্যজীবী আদিত্যকে কোনোমতে নৌকায় তুলে নেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিপর্যয় মোকাবিলার দলকে খবর দেন। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে সৌম্যদীপের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আদিত্য জানায়, ‘‘সৌম্যদীপকে তলিয়ে যেতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। এরপরে আমিও তলিয়ে যাচ্ছিলাম। মাঝি বাঁচালেন। বন্ধু চোখের সামনে তলিয়ে গেল, ভাবতেই পারছি না।’’