নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তর দিনাজপুরঃ দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করে শাহেরা নারায়ণপুর হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ১ জন ছাত্রী। মৃতার নাম শাহেরা বানু। ছাত্রীর কাছ থেকে একটি ডায়েরী উদ্ধার হয়েছে। যেখানে লেখা ছিল, ‘‘রবিউল তোকে ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। ১৯-৯-২৩।’’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শাহেরা মা দিলরুবা বেওয়ার সাথে নিয়ে বুনিয়াদপুর পুরসভার কোটমোড় এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে। দিলরুবা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। বাড়ি বংশীহারির বলিপুকুর এলাকায়। কিন্তু কাজের সুবিধার জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছিলেন।

- Sponsored -
ছাত্রীর মা জানান, “শাহেরার বুনিয়াদপুর পুরসভার ঝাড়পুকুর এলাকার রবিউল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আর শাহেরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল। তাই রবিউলকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এই কারণেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল কাজ থেকে বাড়ি ফিরে শাহেরার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে উঁকি মারতেই দেখা যায় গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে।” এরপর দিলরুবার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে শাহেরাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশকে এই ঘটনায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। এছাড়া দিলরুবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পাশাপাশি ডায়েরীর লেখাটি মৃতার কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে শাহেরার মৃত্যুর জন্য শাহেরার মা রবিউলের মা-বাবাকে দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।