মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ সীমান্ত পারাপারের সময় যাত্রীদের একপ্রকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। আর তখনই ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা পেট্রাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনালে রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় মেটাল ডিটেক্টরে ধাতব জিনিসের উপস্থিতি ধরা পড়তেই জওয়ানরা ওই যাত্রীকে তল্লাশির জন্য টয়লেটে নিয়ে যেতেই চমকে ওঠেন।
তল্লাশির পর জানা যায়, ওই যাত্রী মলদ্বারে সোনা লুকিয়ে পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল। বর্তমানে এই সোনার দাম প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা। বিএসএফ সূত্রে যাচ্ছে, ৫৯ বছর বয়সী তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম জেলার নাম্বুথালাই গ্রামের বাসিন্দা ফয়জল আলি খান ওরফে মহম্মদ ফলিল নামে ওই ব্যক্তিকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ফয়জল কাপড়ের কারবারের সাথে যুক্ত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বর্তমানে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা হয়ে ভারতে ফেরার সময় বেনাপোল বাস স্ট্যান্ডে সিদ্দিকী নামে এক শ্রীলঙ্কার নাগরিকের সাথে দেখা করেন। তখন ওই সিদ্দিকী তাকে সোনার বল দিয়েছিল। আর এই কাজের জন্য দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। এরপর পুলিশ সমগ্র বিষয়টি জানার পর সোনা সহ ফয়জলকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এর আগেও বহুবার সোনা পাচারের ঘটনা সামনে আসলেও মলদ্বারে করে সোনা পাচারের ঘটনা সত্যিই ভাবিয়ে তুলছে। আর সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় কম দামে সোনা নিয়ে এসে ভারতের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করাই পাচারকারীদের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অনেক পাচার আটকানো সম্ভব হলেও সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারকারীদের বারবারন্ত ক্রমশই বেড়ে চলায় আগামী দিনে বিএসএফের তরফ থেকে আরো কড়া নজরদারী চালানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।