রাজ খানঃ বর্ধমানঃ করোনা ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ না নিলেও ‘ফাইনাল সার্টিফিকেট’ চলে এসেছে। যা কোউইন অ্যাপ থেকে ডাউনলোডও করা যাচ্ছে। এই ঘটনায় ৫৭ বছর বয়সী বর্ধমান শহরের টিকরহাটের উত্তম সাহা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এখন দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাক্সিন কীভাবে পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। উত্তমবাবু প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের দরজায় দরজায় ঘুরছেন।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত ৬ ই এপ্রিল উত্তমবাবু বর্ধমান শহরের ঝুরঝুরে পুল এলাকায় বর্ধমান পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন। এরপর কোউইন অ্যাপ থেকে প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে জানতে পারেন ২৯ শে জুন থেকে ২৭ শে জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সেইমতো কয়েকদিন আগে উত্তমবাবু কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে শ্লট বুকিং করেন। ৩ রা জুলাই তাকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের অধীন দুর্গাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার শ্লট বুকিং করে দেওয়া হয়। কিন্তু উত্তমবাবু ডায়াবেটিক রোগী। সেই কারণে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং ক্যানসেল করার চেষ্টা করলে করতে পারেননি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উত্তমবাবুর দাবী, “৩ রা জুলাই তিনি দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাক্সিন নিতে যেতে পারেননি। তা সত্ত্বেও ওই দিনই তার মোবাইলে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাক্সিন নেওয়ার সার্টিফিকেট চলে আসে। এমনকি কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোডও করা যাচ্ছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সোমবার তিনি এই বিষয়ে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন। যদিও পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে জানান, “সম্ভবত এমটা প্রযুক্তিগত সমস্যায় ঘটছে। ভ্যাক্সিন নেওয়ার স্লট বুকিং থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ফাইনাল সার্টিফিকেট চলে আসছে”। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রুটি সংশোধন করে উত্তমবাবুকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।