চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ আলিপুরের জেলাশাসক অফিসের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে ছ’তলায় ওঠার সময় লিফটের মধ্যে পা আটকে গিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ছ’তলার লিফটে ঝুলেই রইলেন ৪৪ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন মোল্লা নামে এক জন ব্যক্তি। জানা গেছে, ছ’তলায় লিফটের দরজা খোলার পর সাহাবুদ্দিনবাবুর বাইরে পা বাড়ানোর পরেই লিফটটি খানিকটা নীচে নেমে যায়। এতে তার পুরো শরীর লিফটের বাইরে থাকলেও একটি পা লিফটের ভিতরে আটকে পড়ে।
লিফটের ভিতরে সাহাবুদ্দিনবাবু ছাড়াও আরো দশ জন ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারাও পাঁচ তলা ও ছ’তলার মধ্যে লিফটটির ভিতরে আটকে যান। আর সাহাবুদ্দিনবাবুর পা লিফটের মধ্যে থাকায় যাত্রীরা তার পা তুলে ধরেন। নাহলে পা কেটে যেত। তবে লিফট থেকে নামার জন্য আপৎকালীন বোতাম টিপেও কোনো কাজ না হওয়ায় সাহায্যের জন্য অনেক ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনোরকম সাহায্য পাওয়ায় যাত্রীরা প্রায় দু’ঘণ্টা লিফটের ভিতরে আটকে থাকেন।
এরপর দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হলে দমকল কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লিফটের ভিতরে আটকে পড়া ব্যক্তিদের পাঁচ তলার দরজা দিয়ে বাইরে বের করে আনে। তারপর কিছুক্ষণ পরে ছ’তলায় লিফটের রেলিং কেটে সাহাবুদ্দিনবাবুকে উদ্ধার করেন। তবে সাহাবুদ্দিনবাবুর পায়ে আঘাত লাগায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে জেলাশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘লিফটটি অনেক দিনের পুরোনো। ঠিকঠাক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। আর লিফটের মধ্যে কোনো লিফটম্যান না থাকায় একসাথে অনেকে উঠে পড়েন। তাই এই গোটা ঘটনাটি নজরদারীর অভাবেই ঘটেছে।’’