নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ আশাকর্মীকে চাকরী দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের এক জন পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় এক জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠছে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর দুর্গাপুর পঞ্চায়েত এলাকার পেশায় টোটোচালক এক ব্যক্তি স্ত্রীর স্থানীয় বড়র উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরীর জন্য ঋণ নিয়ে তৃণমূল কর্মী তথা পঞ্চায়েতের গ্রামসম্পদ কর্মী (ভিআরপি) শুভঙ্কর মজুমদারকে ৫৫ হাজার টাকা দেন।
এছাড়া পঞ্চায়েত সদস্যা মণিকা রায় চাকরীর লোভ দেখিয়ে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে কিছু অনৈতিক কাজ করিয়েছেন। কিন্তু টাকা দিয়েও স্ত্রী চাকরী পাননি। এর মধ্যে টাকা শোধের জন্য তাগাদা বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি কীটনাশক খান।
শুভঙ্কর মজুমদার পাল্টা জানান, “আমার চাকরী দেওয়ার যোগ্যতা নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’’
মণিকা রায় গোটা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, “ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই নেই। চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার মতো এক জন সদস্যার চাকরী দেওয়ার কি ক্ষমতা আছে?”
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেছেন, “অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।’’
জেলা বিজেপির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন, ‘‘এই ঘটনা একটি উদাহরণ মাত্র। তৃণমূলের শীর্ষ থেকে নীচু স্তর অবধি এমন দুর্নীতিতে যুক্ত।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তিকে মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির বয়ান নেওয়া হয়েছে। ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবী, “এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।’’